স্টাফ রিপোর্টার
পুরান ঢাকার সাকরাইন অনুষ্ঠান যেমন ঢাকা বাসি’র ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, তেমনি শুভাঢ্যা’র পৌষ সংক্রান্তি মেলা ও ঘুড়ি উৎসব দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সার্বজনীন শ্মশানঘাট মন্দির কমিটির উদ্যোগে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা, রক্ষাকালী মায়ের বাৎসরিক পূজা ও ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সাংবাদিক পলাশ চন্দ্র দাস জানান প্রায় দেড় যুগ আগে এই অনুষ্ঠানটির পূর্বের জায়গা বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে, ২-৩ বছর অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে শুভাঢ্যা সার্বজনীন শ্মশান ঘাট মন্দির কমিটি উক্ত অনুষ্ঠানটি পুনরায় শুরু করে। এখন প্রায় ১৮ বছর যাবত অনুষ্ঠানটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সহিত উদযাপিত হয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে ধারণ করে রাখতে পারাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে এই অনুষ্ঠানে সমবেত হয়। যদি আমরা এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে না পারতাম তাহলে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে উক্ত অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত করতাম এবং ঠকাতাম। বর্তমান প্রজন্ম যখন মেলায় এসে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে উপভোগ করতে পারে এবং আনন্দ করতে পারে তখন আমার খুবই ভালো লাগে। এই ঐতিহ্য শত শত বছর বেঁচে থাক আমরা শুভাঢ্যা বাসি এবং শুভাঢ্যা সার্বজনীন শ্মশানঘাট মন্দির কমিটি মনে-প্রানে এই কামনা করি।
মন্দির কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জে.কো ব্যাটারির সত্বাধিকারী বিমল চন্দ্র মন্ডল, সভাপতি সমীর চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক পলাশ মন্ডল ও এডভোকেট শেখর চন্দ্র দাস বলেন- উক্ত অনুষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি ও রক্ষাকালী মায়ের মন্দিরের উন্নয়নের কাজে আমরা সামনে হাত দিতে চাই। এ অনুষ্ঠান আরো আলোকিত ও উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক এটাই আমাদের প্রাণের দাবি। সবাইকে আগামীতে সার্বিকভাবে সাথে থাকার জন্য ও সহযোগিতা করার জন্য, তারা আন্তরিকভাবে অনুরোধ করেছেন।