ঢাকা   ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় হাউজিং এস্টেটের প্লট হস্তান্তরের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
  • 125 শেয়ার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তির পর আবাসিক প্লটের জন্য টাকা পরিশোধের ৭ বছর পার হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে বুঝে পাননি প্লট গ্রহীতারা। প্লট হস্তান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্লট প্রাপ্তরা। রোববার বেলা ১১টার সময় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কুষ্টিয়া কার্যালয় এর সামনে প্লটপ্রাপ্তরা প্লট হস্তান্তর এর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্লট বরাদ্দের টাকা সম্পূর্ণ বিধি মোতাবেক ৭ বছর পূর্বে আমরা পরিশোধ করি, কিন্তু তারপরও এখন পর্যন্ত আমার আমাদের প্লট পায়নি। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের বরাদ্দের প্লট সাবেক এমপি হানিফের হস্তক্ষেপে জেলা প্রশাসক এই জমি ফেরত নিয়ে নেয়। তারপর অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের স্থাপনা করার জন্য পরিকল্পনা করে, যার ফলশ্রুতিতে টাকা পরিশোধের পরও এখন পর্যন্ত প্লট অধরা রয়ে গেছে। বক্তারা আরও বলেন, এখন দেশ থেকে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। তাই আমার এখন এই সরকারের কাছে অনুরোধ করবো কুষ্টিয়া হাউজিং এস্টেট এর আমাদের বরাদ্দের প্লট হস্তান্তর করে বুঝিয়ে দেন। বরাদ্দ পত্রের নোটিশ অনুযায়ী শর্ত ও নির্দেশনা মেনে প্লট বাবদ সরকারের সকল প্রকার প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ থাকলে তৎপরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে বাস্তব দখল হস্তান্তর ও প্লটের দলিল সম্পাদন সহ রেজিস্ট্রি করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ৭ বছরেও তা হয়নি। নগণ্য সংখ্যক প্লট রেজিস্ট্রি করে দিলেও তা বাস্তব দখল দেওয়া হয়নি। কিছু সংখ্যক প্লটের ৪র্থ কিস্তির অর্থও গ্রহণ করা হয়নি। প্লট প্রাপ্ত জাকারিয়া জাহিদ বলেন, ২০১৫ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নোটিশে আমি সমস্ত নিয়ম মেনে প্লটের জন্য আবেদন করি, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ৪ কিস্তিতে ১২ লাখ ও লভ্যাংশ ১ লাখসহ মোট ১৩ লাখ টাকা প্রদান করেছি, এখনো প্লট বরাদ্দের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না, আমি অতি দ্রুত প্লট বুঝে পেতে চাই। রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পূর্ব পাশে ২.৫ কাঠার প্লটের জন্য ১০ লাখ টাকা প্রদান করেছে কিন্তু সাবেক এমপি হানিফের কারণে আমরা কেউ প্লট পায়নি, এখন আমরা অতি দ্রুত আমাদের প্লট পেতে চাই। উল্লেখ্য, ১৬ একর ২৪ শতক জমিতে ২১২টি প্লটের মধ্যে ১৭৩টি বরাদ্দ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে ন্যাশনাল হাউজিং অফিস। মানববন্ধন শেষে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০