কুড়িগ্রামে চিনি, পশুখাদ্য, সার এবং গ্যাস সমস্যার সমাধানে সুগারবিট

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৩

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন দেশে চিনি,পশুখাদ্য, সার এবং গ্যাস সমস্যার সমাধানে সুগারবিট উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০ মার্চ ২০২৩ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় কৃষকগণকে নিয়ে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
ওয়ার্কশপে বক্তাগণ বলেন যে, দেশে চিনি, পশুখাদ্য, সার এবং গ্যাস সমস্যা আমরা বহু বছর যাবৎ দেখছি। এ খাতসমূহের সমস্যার সমাধান ২ বছরেই সম্ভব যদি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হন।
বক্তাগণ আরও বলেন যে, ইউরোপসহ অনেক দেশ প্রায় ১০০ বছর আগে আখ চাষ বন্ধ করে সুগার বিট চাষ শুরু করে। কারণ, আখ ১৪ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি আখ থেকে চিনি হয় মাত্র ৫ কেজি এবং আখের ছোবরাকে শুধুমাত্র রান্নাঘরে জ্বালানী হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, সুগারবিট মাত্র ৫ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি সুগারবিট থেকে চিনি পাওয়া যায় প্রায় ১৪ কেজি। সুগারবিট (রুট) থেকে চিনি এবং পশুখাদ্য উৎপাদন হয় অপরদিকে পাতা-ডগা থেকে গ্যাস এবং সার উৎপাদন হয়।
বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন দেশে সুগারবিট চাষ শুরু করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ লাখ হেক্টর জমি সুগারবিট চাষের আওতায় আনার আশাবাদী। দেশের বিদ্যমান চরাঞ্চলে, লোনাঞ্চলে, খারাঞ্চলে, অনুর্বর এবং পতিত জমিতে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টন সুগারবিট উৎপাদন করে প্রায় ৬৩ লাখ টন চিনি, ৬৩ লাখ টন পশুখাদ্য, ৬৩ লাখ টন সার এবং ৫৪ কোটি সিবিএম গ্যাস উৎপাদন সম্ভব।
বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন দেশের উপযোগি জেলাসমূহে সুগারবিট চাষ করছে এবং উক্ত জেলাসমূহে এক বা একাধিক বিট সুগার মিল স্থাপনে সৎ, পরিশ্রমী এবং যোগ্য উদ্যোক্তা খুঁজছে।
দেশে চিনি,পশুখাদ্য, সার এবং গ্যাস সমস্যার সমাধানে সুগারবিট উৎপাদনে উপস্থিত কৃষকগণ খুবই আগ্রহী।