“করোনা মোকাবেলায় গাইবান্ধা দেশের রোল মডেল” সংসদ সদস্য এড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি
মো. ছালদার রহমান, স্টাফ রিপোর্টার:
সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকাস্থ গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে “করোনা মোকাবেলায় আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ কফিল উদ্দিন সরকার, মোঃ সাঈদ নূর আলম, গাইবান্ধা জেলা বিসিএস ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্মসচিব মোঃ এমদাদুল হক, অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার বাণী, অতিরিক্ত সচিব এসএম, জাকির হোসেন, যুগ্মসচিব ড. রঞ্জিত কুমার সরকার, সাবেক কাষ্টমস কমিশনার মোঃ আব্দুল কাফি, উপসচিব মোঃ মিজানুর রহমান, বিটিসিএলএর উপ-ব্যবস্হাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার আবু তোরাব শামসুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, গাইবান্ধা জেলা সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম সরকার, গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এ.টি.এম. মমতাজুল করিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী প্রমুখ। সভা পরিচালনায় মর্ডারেটর ছিলেন এড. মোশাররফ হোসেন মনির।
সভায় প্রধান আলোচক বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ বেনজীর আহমেদ বলেন গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী গাইবান্ধা জেলার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের ব্যাপারে আমাকে অবহিত করে বলেন, আপনি এলাকায় গণমানুষের স্বাস্হসেবার দিকে সূদৃষ্টি দিলে এলাকায় করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে। সেই চিন্তা চেতনা ও উদ্দীপনা থেকেই আমি নাড়ীর টানে ঈদের দিন গাইবান্ধা যাই। সেখানে গিয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ও সাদুল্যাপুর হাসপাতাল পরিদর্শন করি।পরে জেলার সবগুলো হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্যকর্মী ও বেসরকারী সংস্থা পুসাগ এর সকল স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে করোনা বিষয়ে নানাবিধ প্রশিক্ষণ সহ নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকি। এই কার্যক্রমে সাড়া দিয়ে জেলার ডিসি, এসপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়রসহসহ সুশীল সমাজের সকল স্তরের লোকদের সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা করি। এতে করে করোনা মোকাবেলায় আমরা অনেকদূর অগ্রসর হতে পেরেছি। শুধু তাই নয় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, বাথরুম পরিষ্কার ও হাসপাতাল ধৌতসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। এছাড়াও হাসপাতালের যত্রতত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় অব্যবহৃত আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি অন্যত্র হস্তান্তর করা হয়। পৌরসভার মেয়র নিজ দায়িত্বে হাসপাতালের বাহির, মাঠ, রাস্তা বাগান সহ হাসপাতাল চত্তর পরিচ্ছন্ন করেন। এছাড়াও হাসপাতালের শূন্য পদে মেডিসিন কনসালটেন্ট সুপারেনটেনডেন্ট ও লিকুইট অক্সিজেন সরবরাহে মাননীয় ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সহযোগিতায় ডিসিও স্বাস্হ্য সচিব কে এসব সমস্যা সমাধানে জোর তাগিদ দেন, সমন্বয়ে গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আমাদের সহযোগিতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠন (পুসাগ) এর টেলিমেডিসিন সেবা ও২৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও একটি এ্যাম্বুলেন্স সহ প্রায় ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবক ৭টি উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সভায় স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক এম এ হাদী ফোরামের বিগত দিনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি মহান এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তরিৎও ফলপ্রসূ নির্দেশনায় স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থা যেভাবে কাজ করেছে তাতে করে অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কম। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখায় কোভিট-১৯নিয়ে তিনি বিশ্বে এখন প্রশংসিত, ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবসের মাসে আগামী ৭ই আগষ্ট হতে ১৪ই আগষ্ট পর্যন্ত গণ টিকার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন কে -সকল টিকা উপযোগী মানুষকে টিকাদান নিশ্চিত করণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধার সকল মহলের সহযোগিতায় করোনা রোগীদের সু চিকিৎসা,ফ্রী অক্সিজেন সেবা সহ নানা ধরনের সহায়তার নজীর এখন দেশবাসীর রোল মডেল হতে পারে।এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয়ের জন্য তিনি গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরাম কে ধন্যবাদ জানান। এবং পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
পরিশেষে ফোরামের সভাপতি মহোদয়ের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সংকলকে ধন্যবাদ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।