ঢাকা   ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উপদেষ্টার সিদ্ধান্তহীনতায় গার্মেন্টস শিল্পে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে: আলোচনা সভায় বক্তারা সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাথে ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স-এর মতবিনিময় সভা ‘কাউন্টডাউন শুরু’ স্ট্যাটাস দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম তাপসী ওএসডি চার মাস বেতন বন্ধ কিশোরগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ৩২২ সিএইচসিপির বাজিতপুর জেলার দাবিতে আইআইবিএইচবি’র আলোচনা সভা ২০১৮ সালেই এমজেএফ সম্মাননা গ্রহণ করেন লায়ন খান আকতারুজ্জামান শেরপুরে ‘স্মরণকালের’ ভয়াবহ বন্যায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, মৃত্যু বেড়ে ৭ রায়পুরায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন আজকের পর্ব (৭): ‌ক্ষণিকের জীবন লালমনিরহাটে কলেজছাত্রীর ধর্ষণের ভিডিও করে ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬

কমিশন বাণিজ্যের প্রধান প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
  • 95 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতির বরপুত্র ই-এম সার্কেল-২ এর আওতাধীন সেগুনবাগিচায় ১২ তলা ভবনের ডিভিশন ৫ এর প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙিয়ে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীদের বদলীর ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।একইসাথে নিয়োগ-বদলী ও পদোন্নতি বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
জানা গেছে, এসব অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। যার মধ্যে খুলনায় রয়েছে তার অনেক অবৈধভাবে গড়ে তোলা সম্পদ । দুদক সাবেক সেই প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে পারলেও আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি। ক্ষমতার দাপটে তার বিষয়ে অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি।
সাবেক সেই প্রধান প্রকৌশলীর বদলীর পর তিনি শুরু করেন কমিশন বাণিজ্য, কিছু অসাধু ঠিকাদার ও কর্মকর্তা নিয়ে গড়ে তোলেন ভয়ংকর সিন্ডিকেট। একদিকে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্টজনকে মোটা অংকের অর্থ ঘুষ দেন অন্যদিকে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তার এর আস্থাভাজন হওয়ায় ১২ তলা ভবনে গড়ে তোলেন তার নিজস্ব সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগ এর ভাবাপন্ন ও ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত থাকায় ক্ষমতার কারনে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
গনপূর্ত ই/এম সার্কেল-২ এর ৫ নং ডিভিশন এ যোগদান করে তিনি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শুরুতেই তিনি তার অধীন্যস্ত বিভাগের বেশিরভাগ কাজ ২০% অর্থের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারদের মধ্যে বন্টন করে দেন। পাশাপাশি সাধারণ ঠিকাদারদের উপর চালানো শুরু করেন নির্যাতনের স্টিম রোলার, কমপক্ষে ৫% ঘুষ না দিলে তিনি কোন প্রাক্কলন অনুমোদন করেন না, দরপত্র এপিপি অনুমোদনে গিফট দিতে হয়, টিইসি এপ্রুভালে নগদ অর্থ না দিলে তিনি আটকে রাখেন। আগে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারদের খুঁজে খুঁজে ডেকে ডেকে এনে তার নিজস্ব সিন্ডিকেটের লোকদের অনুদান দিতে বাধ্য করেন বলেও জানা যায়। ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের অসংখ্য ঠিকাদার ও কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার এসব অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তিনি রুমে ঢুকতে দিতে চান না কিংবা রুমে ঢুকতে দিলেও বক্তব্য দিতে চান না বরং বাইরে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধামকি দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের আগে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন, এমনকি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তার পকেটে থাকে এমন বার্তা দিয়ে কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর গণপূর্তে থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করে।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে বদলি করে গোপালগঞ্জ এ পাঠানো হয়েছে।
আমাদের অনুসন্ধানে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের খতিয়ানও তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টার সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে যার প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে, মহাক্ষমতাধর ব্যক্তিরা আইনের আওতায় আসছে। অথচ গণপূর্তে দুর্নীতির দুষ্টচক্রের অন্যতম মূলহোতা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে।

দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান চলমান থাকবে এবং ধারাবাহিকভাবে তার দুর্নীতির সুস্পষ্ট তথ্য প্রমান, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং, অবৈধ বিত্ত-বৈভবের বিস্তারিত বর্ননা, স্থিরচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ছাপা হবে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০