কুষ্টিয়া কুমারখালী থেকে সুজন/আমিরুল
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি বিশ্বের বুকে সমাদৃত একটি স্থানের নাম। কিন্তু এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ছোট ছোট পল্লীগ্রাম এই গ্রামগুলোতে চলাচলের রাস্তা অনেক খারাপ অবস্থা। দারিগ্রাম একটি গ্রাম সেই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবন যাপন করে কিন্তু তারা চাষবাসের উপকরণ ক্রয় করা লাগে খোরশেদপুর বাজার অথবা আলাউদ্দিন মোড় বা কুমারখালী, কিন্তু পরিতাপের বিষয়ে এই যে তাদের চলাচলের যে রাস্তাটা সে রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে সেই রাস্তা দিয়ে পাঁচ মিনিটের রাস্তা যেতে তাদেরকে প্রায় এক দেড় কিলোমিটার ঘুরে যাওয়া লাগে কারণ যে রাস্তা আছে সেই রাস্তা চলাচলের উপযোগী নয়। বর্ষাকালে সেই রাস্তায় থাকে কোমর পর্যন্ত কাদা পানি আবার এই রাস্তার মাঝে একটা মসজিদ ও মাদ্রাসা আছে যাহা আশেপাশে মসজিদ ও মাদ্রাসা নেই আবার এই পথ দিয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদেরকে ইস্কুলে যেতে হয়। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব পরপর তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়া সত্বেও এ রাস্তার কাজ করেনি উনি নির্বাচনের আগে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এই রাস্তা তিনি করে দেননি।বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেব গাজী বিপ্লব হোসেনের কার্যালয় দৈনিক বিজনেস ফাইলের প্রতিনিধি যোগাযোগ করতে গেলে উনি অফিসে ছিলেন না মিটিংয়ে ছিলেন তাই ফোনে কথা হলে উনি বলেন আমি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি আমি বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব। স্থানীয় লোকজনদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় তারা অনেক দুর্ভোগের মধ্যে আছে। এই এলাকাতে একটা বিপদ ও ডেলিভারি রোগী অন্যান্য ইমারজেন্সি রোগী হঠাৎ হলে তাদের দুর্ভোগ আর শেষ থাকেনা। তাদের একটাই দাবি যে এই ঐতিহ্য বহুল জায়গায় তারা বসবাস করে তাদের রাস্তা তারা সংস্করণ চাই এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন যে উনি সারা বাংলাদেশে যেমন উন্নয়ন করেছেন সেই উন্নয়নের ছোঁয়া এই গ্রামবাসীর দাবি।
যে রাস্তাগুলা সংস্কার হলে এলাকাবাসীর মনের দাবি পূরণ হবে সে রাস্তা গুলোও নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
শামসুল শেখ এর বাড়ি থেকে দারিগ্রাম হানিফ বিশ্বাসের বাড়ি বটতলা পর্যন্ত আনুমানিক ১২০০ ফিট।
দারিগ্রাম ঈমান শেখের বাড়ি থেকে আবির মন্ডলের মসজিদ পর্যন্ত আনুমানিক ২০০০ ফিট।
রিজু পরামানিকের বাড়ি থেকে নদীর কুল বারিক মুন্সির বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক ৬০০ ফিট ।
আলিম শেখের বাড়ি থেকে আনার পরামানিকের বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক ১৫০০ ফিট।
উপরোক্ত রাস্তাগুলি হয়ে গেলে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে বলে ৫ হাজার এলাকাবাসী।