কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্যারিফ সংশোধনের ফলে স্থানীয় অপারেশনাল খরচ বৃদ্ধি পাবে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ কাঠামো কার্যকর হবে। এরই প্রেক্ষিতে এমএসসি এই সারচার্জ আরোপ করছে। এর আগে ফ্রান্সভিত্তিক শিপিং কোম্পানি সিএমএ সিজিএম বাংলাদেশের আমদানি–রপ্তানি পণ্য পরিবহনের ওপর সারচার্জ আরোপের ঘোষণা দেয়
এমএসসি জানায়, স্থানীয় খরচ বৃদ্ধির প্রভাব প্রশমনে এটি একটি সাময়িক পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেয়া ঘোষণায় কন্টেনারভেদে আমদানি–রপ্তানিতে এই সারচার্জ আরোপ করা হয়। প্রতিটি সাধারণ কন্টেনারের বিপরীতে সারচার্জ ১০০ ডলার, রিফার কন্টেনারের জন্য ১৫০ ডলার, ওওজি (আউট অফ গেস) কন্টেনারের জন্য ১৫০ ডলার এবং আইএমও কন্টেনারের জন্য ২০০ ডলার সারচার্জ আরোপের ঘোষণা দেয়া হয়েছে
এমএসসি জানায়, পূর্বে ঘোষিত ইইউ প্রাইস অ্যানাউন্সমেন্ট ও কোম্পানির অন্যান্য চার্জ পূর্বের মতো বহাল থাকবে। নতুন এই খরচ কেবল বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যয় কাভার করার উদ্দেশ্যে আরোপ করা হয়েছে। এমএসসি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কন্টেনার পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ কাঠামো কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোম্পানিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে
সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যে মাশুল বাড়িয়েছে তার একটা অংশ দিচ্ছে শিপিং কোম্পানিগুলো। শিপিং কোম্পানিগুলো এই মাশুল দিলেও দিন শেষে তারা আমদানি–রপ্তানিকারক থেকে বাড়তি ট্যারিফ আদায় করবে। এবার জেনেভাভিত্তিক কোম্পানিটি আমদানিকারক–রপ্তানিকারক থেকে আদায় করার ঘোষণা দিল।
১৪ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ হারে ট্যারিফ বাড়বে। বন্দরের সেবা নেওয়ার জন্য এই মাশুল দিতে হবে ব্যবহারকারীদের। ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে এই ট্যারিফ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ট্যারিফ সংশোধনের ফলে বন্দরে জাহাজ নোঙর, কন্টেনার হ্যান্ডলিং ও সংশ্লিষ্ট সেবার খরচ বাড়ছে। এর প্রভাবে এমএসসি অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে নতুন সারচার্জ আরোপ করছে। এই সারচার্জ বা বর্ধিত ট্যারিফের ধকল দেশের সাধারণ ভোক্তাদের সামাল দিতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন



আপনার মতামত লিখুন :