বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
ঢাকা টু ভোলা হাকীম উদ্দিন নৌ লাইনে লঞ্চ চলতো এমভি শতাব্দী বাধন। ৫ই আগষ্ট ২০২৪ সরকার পরিবর্তনের পর হঠাৎ করে এক অজুহাতে এমভি শতাব্দী বাধন লঞ্চটি ঢাকা টু ভোলা চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর পর উলটা এমভি শতাব্দী বাধনকে নোটিশ করে বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাট পোর্ট অফিসার বরাবর নোটিশের জবাব দেয়া হয় ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং। কিন্তু সদরঘাট পোর্ট অফিসার কোনো জবাব দেয় নি।এমভি শতাব্দী বাধন কে চলাচলের কোনো অনুমতি দেয় নি।অথচ তাসরিফ -২, সাব্বির -৩ লঞ্চকে কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রুটপারমিট না থাকা সত্ত্বেও ঘুষ খেয়ে ঢাকা টু ভোলা চলাচল করতে দিচ্ছে। এ দুটি লঞ্চের কর্মচারিগণ মারামারি করে আহত হয়ে হাসপাতালে। যার ছবি ২২ নং চ্যানেল এর সিসি ক্যামেরাএ ফুটেজ রয়েছে।
এদিকে এমভি লঞ্চ বাধন চলাচলের অনুমতি না পেয়ে এর মালিক ইকবাল হোসেন হাইকোর্টে মামলা করেন। মহামান্য হাইকোর্ট শতাব্দী বাধনের চলাচলের পক্ষে আদেশ দেন।আদেশের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ আপিল করেন।আপিল বিভাগ শতাব্দী বাধনের পক্ষে রায় দেন। বিআইডব্লিউটিএ আবার আপীল করেন সর্বশেষ ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪। সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ আবারো শতাব্দী বাধনের মালিক ইকবাল হোসেন এর পক্ষে রায় দেন।আপীল বিভাগের রায় সদরঘাট পোর্ট অফিসার মোবারক হোসেন এখনো বাস্তবায়ন করছে না। নানা টাল বাহানা করছে। যাহা আদালতের রায় অবমাননা। কনডেম টু কোর্ট, এব্যাপারে বিআইডব্লিউটি এ র চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানালে তিনিও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। সদরঘাট পোর্ট অফিসার মোবারক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো সদত্তোর দিতে পারছেন না। এ ব্যাপারে নৌ পরিবহন উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন লঞ্চ মালিক ইকবাল হোসেন।