ঢাকা   ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো জোড় ইজতেমা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
  • 22 শেয়ার

টঙ্গী প্রতিনিধি
বিশ্বের মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি, ভ্রাতৃত্ববোধ, ক্ষমা প্রার্থনা ও মঙ্গল কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। ৯টা ২০ মিনিটে শেষ হয় মোনাজাত। দোয়া পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। আখেরি মোনাজাতে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান শরিক হন।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন শুরায়ে নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরা-ই-নেজামের) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

ফজর থেকে হেদায়াতি বয়ান হয়েছে। (যারা আল্লাহপাকের রাস্তায় তাবলিগে বের হবেন তাদের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য) বয়ান করছেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আব্দুর রহমান। তার বক্তব্য তরজমা করেছেন মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব। নসিহত মূলক বক্তব্য পেশ করেন-ভারতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তার বক্তব্য তরজমা করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। নসিহত মূলক বক্তব্যের শেষে আখেরি মোনাজাত হয়।

তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এই আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম) এর ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।

এদিকে, পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় অংশ নেয়া এ পর্যন্ত ৪ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মৃত মুসল্লিরা হলেন, রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী (৩৫), দিনাজপুর সদর থানার মস্তপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮) এবং সিরাজগঞ্জ সদর থানার শহিদুল ইসলাম (৬৫)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জোড় ইজতেমার আয়োজক শুরা-ই-নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, রোববার দুপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে হায়দার আলীকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। কাউসার আলী নামে আরও একজন মারা গেছেন। ইজতেমার চতুর্থ দিনে আমল করার সময় শহিদুল ইসলাম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তার ছেলের মাধ্যমে আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। সোমবার বাদ ফজর ইজতেমা মাঠে তার জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও গত শুক্রবার বাদ আসর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার দুলালী গ্রামের আব্দুল হামিদ মাতাব্বের ছেলে আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২) ইজতেমায় মারা যান। ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এবারের জোড় ইজতেমায় চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০